পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষের সময় লুট হওয়া মোটরসাইকেলগুলোর মধ্যে ৯টি জব্দ করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধার বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় ও জঙ্গল থেকে এসব মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
মক্কেল মৃধা পাবনা-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী। অভিযানে অংশ নেয় পাবনা ডিবি পুলিশ, ঈশ্বরদী থানা, পাকশী এবং রুপপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
মোটরসাইকেল জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো ঈশ্বরদী থানায় জমা দেয়া হয়েছে।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এবিএম মনিরুল ইসলাম জানান, সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক এবং জামায়াতের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মক্কেল মৃধার বাড়ির পাশ থেকে মোটরসাইকেলগুলো পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, ‘বাকি মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় যান পাবনা-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মণ্ডল। এ সময় পূর্বের একটি মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধার নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান হাবিব সমর্থিত স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। জামায়াত নেতা-কর্মীরা তাদের বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
জামায়াতের দাবি, হামলার সময় ১০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং প্রায় ৪০টি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায় বিএনপির কর্মীরা। ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের আমির ড. নুরুজ্জামান প্রামাণিক বলেন, ‘আমাদের এখনো অনেক মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি। দ্রুত বাকিগুলো উদ্ধারে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।’
.jpg)
0 মন্তব্যসমূহ