সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

নাটোর ও পাবনায় বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭২, অস্ত্র-মাদক উদ্ধার

 


নাটোর ও পাবনা জেলার তিনটি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান তার কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এর আগে, শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এ দুই জেলার মধ্যে নাটোরের নলডাঙ্গা, সিংড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন- সর্বহারা পার্টির দুই সদস্য; অস্ত্রধারীর সহযোগী এবং নিয়মিত মামলার আসামি ২১ জন; চারজন মাদক মামলার আসামি; ২১ জন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত; দুইজন সাজা পরোয়ানার এবং ২২ জন সন্দেহভাজন।

এ সময় ১৩টি দেশি অস্ত্র (ছোরা, হাসুয়া, চাপাতি) ও একটি বিদেশি অস্ত্র, এক কেজি ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য নাটোরের শহিদুল ইসলামকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি ও অস্ত্র আইনে আটটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আয়োজনে সহায়তা করতে এবং যারা পরিবেশ বিঘ্ন করতে পারে তাদের নিবৃত্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সর্বহারা সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী গোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলই ছিল অভিযানের মূল লক্ষ্য। এ অভিযানে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ)/(ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), এসপি (প্রশাসন ও অর্থ)/(ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), সংশ্লিষ্ট সব জেলার পুলিশ সুপার, সার্কেল অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দেন। রেঞ্জ ডিআইজি সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় করেন। অভিযানে জেলা পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের সদস্যরা অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও জানানো হয়- অভিযান পর্যায়ক্রমে রেঞ্জের সব জেলায় পরিচালনা করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ নভেম্বর পদ্মা নদীর চারটি চরে অপারেশন ফাস্ট লাইট চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। এই অভিযানে রাজশাহীর পদ্মার চর থেকে ১৪ জন, নাটোরের পদ্মার চর থেকে ২০ জন, পাবনার পদ্মার চর থেকে ২৪ জন এবং কুষ্টিয়ার পদ্মার চর থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া সর্বশেষ গত ২০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ছয়টি থানায় অপারেশন ফার্স্ট লাইট-২ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ অভিযানে পুলিশ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ