ভাঙ্গুড়ায় এমপি পদে মনোনয়ন চাওয়া দুই প্রার্খীর উপজেলা নির্বাচনে করুণ পরাজয়!

 

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে মনোনয়ন চাওয়া এম মেজবাহুর  রহমান রোজ ও বাকী বিল্লাহ নামের দুই প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যাধানে পরাজিত হয়ে আলোচনায় এসেছেন। তাদের একজন হলে জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি  এম মেজবাহুর  রহমান রোজ ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো: বাকি  বিল্লাহ। 

এম মেজবাহুর রহমান রোজ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬৭৯ ভোট এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো.বাকি বিল্লাহ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪১ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১৫৫৯ ভোট। 

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাকি বিল্লাহ নির্বাচন সুষ্ঠুও প্রভাবমুক্ত হবে না মর্মে অভিযোগ তুলে তিনি আগেই সংবাদ সম্মেলন করে মৌখিক ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। অপরদিকে নির্বাচনের পর ভোট গণনা শেষে পরাজিতের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইভিএমকে ভুয়া আখ্যা দিয়ে  নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে মেজবাহুর রহমান রোজ পোস্ট করে সমালোচিত হয়েছেন। 

জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশের মধ্যে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২১ শে মে ইভিএম এর মাধ্যমে ৪৫ কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত  হয়। 

মঙ্গলবার রাতে সহকারি রির্টাানিং কর্মকর্তা বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করলে নির্বাচনে গোলাম হাসনাইন রাসেল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে  পেয়েছেন ৩১৫৫৯ ভোট বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হলেও  অপর দুই প্রার্থীর করুণ পরাজয় হয়েছে। এম মেজবাহুর রহমান রোজ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে  তিনি পেয়েছেন ২৬৭৯ ভোট এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো.বাকি বিল্লাহ আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পেয়েছেন ৫৪১ ভোট। 

গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এম মেজবাহুর  রহমান রোজ ও মো. বাকী বিল্লাহ দুজনেই ৭০ পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের এমপি পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সে সময় তারা দুজনেই সংসদ সদস্য পদে তিন উপজেলাবাসীর দোয়া কামনা করে পেস্টার লিফলেট বিতরণ করে আলোচনায় এসেছিলেন। 

পরবর্তী সময়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজনেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। নির্বাচনে মেজবাহুর রহমান রোজ ও মো. বাকী বিল্লাহ  দুজনেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেছেন। বিজয়ী প্রার্থীর ভোটের সাথে  এমন ব্যবধানে ওই দুই প্রার্থীর পরাজয়ে  স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে  মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা সমালোচনা করে বলছেন উপজেলা পরিষদের পাশ করতে পারেন না আবার এমপি পদে মনোনয়ন চান। ভোটের ফল প্রকাশের পরে বিভিন্ন মহলে এমন গুঞ্জন শোনা গেছে।

প্রসঙ্গত, এ উপজেলায় মোট ভোটার ১০৩১৯১ জন। পুরুষ ভোটার ৫১৭৭৮ জন ও মহিলা ভোটার ৫১৪১২ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৫টি ।