পাবনায় চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। রোজার ঈদের পরে লোডশেডিং কম থাকলেও গত দুদিন ধরে দিনে রাতে সমানতালে লোডশেডিং চলছে। এতে একদিকে ফসলের মাঠে সেচ দিতে সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ না পেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন সাধারন মানুষ।
জেলার ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীতে টানা ২ সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বাড়ছে। গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠানামা করছে। গত ২৭ এপ্রিল তা বেড়ে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, যা ছিল এ বছরে ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
জেলা সদর ও বেশ কয়েকটি উপজেলায় খবর নিয়ে জানা গেছে, গরমের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। জেলা শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি। অনেক এলাকায় ৩০ মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে একদিকে যেমন বাড়িতে মানুষ গরমে পুড়ছে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে জমিতে সেচকাজ। আবার অনেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আজ সকাল থেকে জেলা শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফসলের মাঠ থেকে বাজার—সব জায়গাতেই লোকসমাগম কম। প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।
জেলা শহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে অতিরিক্ত লোডশেডিং থাকায় মানুষ মার্কেটে কম আসছেন। যাঁরা আসছেন, তাঁরাও অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছেন। এতে বেচাবিক্রিও অনেক কমে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যুৎ বিতরন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘাটতির কারণেই লোডশেডিং কিছুটা বেড়েছে। তবে আমরা গ্রাহকের ভোগান্তি কমানোর জন্য এলাকা ভাগ করে লোডশেডিং দিচ্ছি। অন্যদিকে গত তিন দিনে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। অচিরেই বিদ্যুৎ–ঘাটতি কমে যাবে, আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’

0 মন্তব্যসমূহ