সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

বেড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ডেপুটি স্পিকারের ভাই-ভাতিজা


 প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনার বেড়া উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন পাবনা ১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন ও ভাতিজা আব্দুল কাদের সবুজ। আব্দুল বাতেন বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও আব্দুল কাদের সবুজ সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।


সংসদ সদস্যদের নিকটাত্মীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা থাকলেও সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে নিজ নিজ যুক্তি তুলে ধরেছেন ডেপুটি স্পিকারের ভাই ও ভাতিজা।


স্থানীয়রা জানান, আব্দুল বাতেন বেড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি বেড়া পৌরসভার একাধিক বারের নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। অতীতে সুসম্পর্ক থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে বড় ভাই শামসুল হক টুকুর সঙ্গে আব্দুল বাতেনের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। উভয়ের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। গত পৌর নির্বাচনে আব্দুল বাতেনকে সরিয়ে শামসুল হক টুকুর বড় ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আব্দুল বাতেন ভাতিজার বিরুদ্ধে নির্বাচনে হেরে যান। ঐ নির্বাচনে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেন আব্দুল বাতেন। 

পরবর্তীতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আব্দুল বাতেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী টুকুর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও, টুকুর সমর্থক নেতাকর্মীরা আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে।


আব্দুল বাতেন বলেন, বেড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমি শামসুল হক টুকুর পরিচয়ে পরিচিত নই। তিনি এমপি হবার অনেক আগেই আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম। তার আগেই আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি। বেড়া উপজেলার রাজনীতিতে শামসুল হক টুকুই আমার পরিচয়ে পরিচিত। কাজেই এই নির্দেশনা আমার জন্য প্রযোজ্য নয় বলেই মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে শামসুল হক টুকু প্রভাব খাটিয়ে বিতর্কিত নির্বাচন করে আমাকে হারিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসন এমপির প্রভাবমুক্ত থাকলে, জনগণ আমাকেই বিজয়ী করবে।


এদিকে, আব্দুল কাদের সবুজ বেড়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শামসুল হক টুকুর অনুসারী। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে তিনিও আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীতায়।


আব্দুল কাদের সবুজ বলেন, আমার মনে হয় এমপির স্বজনদের প্রার্থী না হতে যে নির্দেশনা সেটি যারা মন্ত্রী, এমপির পরিচয়ে জনপ্রতিনিধি হতে চান তাদের জন্য। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি। বেড়ার রাজনীতিতে আমি বিএনপি জামায়াতের জেল, জুলুম সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। দল ও দলের কর্মীরা আমাকে প্রার্থী করেছে। এ নির্বাচনে প্রতীকও নেই কাজেই আমি নির্বাচনে থাকছি। জনগণ যদি ভোট দেয় তবে আমি বেড়া উপজেলার নেতৃত্ব দিতে চাই।


এ বিষয়ে শামসুল হক টুকু বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমি কাউকে সমর্থন দেইনি। কাউকে প্রার্থী হতে বা সরে দাঁড়াতেও বলিনি। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সেই চেয়ারম্যান হবে। এ নিয়ে আমার কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ