ফয়সাল মাহমুদ পল্লব: পাবনায় হঠাৎ কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ, বেগুনসহ অন্যান্য সবজির দাম। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৬০ টাকা কেজি দরের বেগুন এখন ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাবনার বিভিন্ন হাটবাজারে। রোববার (১৭ মার্চ) পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া হাটে এ দরে বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর আরও কমে পাঁচ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে বেগুন। অথচ রমজানের প্রথমদিন পাবনার বিভিন্ন বাজারে ৬০ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বেগুন।
এদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়া পেঁয়াজর দাম নেমেছে অর্ধেকে। রমজানের প্রথমদিন পাবনার বিভিন্ন বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ রোববার (১৭ মার্চ) টেবুনিয়া হাটে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখো গেছে। তবে আলুর দামটা একটু চড়া। ২৫ টাকা কেজি দরের আলু হঠাৎ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখো গেছে।
এছাড়াও বাঁধাকপি, লাউ, লালশাক, পুঁইশাক, ডাটাশাক কম দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে লেবুর দামটা বেশ চড়া, রোজার আগে লেবু ৩০ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে সেই লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা হালি।
টেবুনিয়া হাটের সবজি বিক্রেতা নাজির হোসেন জানান, হাটে ব্যাপক সবজির আমদানি হয়েছে। বিশেষ করে বেগুন ও বাধাকপিতে হাট ভরপুর। বাজারের সবচেয়ে ভালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি। আর একটু নিম্নমানের বেগুন পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রানীগ্রামের বেগুন চাষি আনিসুর রহমান বলেন, অসময়ের বেগুন চাষে গতবছর রমজানে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছিলেন। তাই এবারও অনেকেই বেগুন চাষ করেছেন। কিন্তু এবার বেগুনের দাম তুলনামূলক অনেক কম। বেগুন চাষিদের এবার লোকসান গুনতে হবে।
হাটে সবজি কিনতে আসা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বেগুনের দাম শুনে আমি নিজেই অবাক হলাম। গতবছর রমজানে প্রতিকেজি বেগুন ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এবার হাটে এসে দেখছি বেগুন ১০ টাকা কেজি। তাই এক কেজি বেগুন কেনার ইচ্ছা থাকলেও দাম শুনে দুই কেজি কিনেছি।’
আরেক ক্রেতা বলেন, ‘পাঁচ কেজি বেগুন আর ১০ কেজি বাধাকপি কিনেছি। দুটোই পাঁচ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এগুলো ছাগলকে খাওয়াবো। বাজারে এক কেজি ভুসি ৫০ টাকা। সবজির দাম কমে গেছে। তাই ভাবছি কয়েকদিন ছাগলকে সবজি খাওয়াবো।’

0 মন্তব্যসমূহ