জন্মের পরই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় কুলসুম। প্রচণ্ড জ্বর থাকত তার। কিছু খেতে না পারলেও শুধু বমি করত। এই আপৎ কাটিয়ে সাত মাসে পা দিতেই আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে নেওয়া হয় রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। এরপর শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। ধারদেনা করে কিছুদিন চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও টাকার অভাবে তাও আটকে যায়। এতেই সহায়-সম্বল শেষ হয়ে গেছে শিশুটির দিনমজুর বাবা মনসুর আলীর। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার দারামুধা গ্রামের এই অসহায়ের ভিটে ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।
দিনমজুর মনসুর আলী বলেন, কিছু টাকা জোগাড় করে গত ১৪ জুলাই কুলসুমাকে আবারও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অধ্যাপক মোহাম্মাদ আতাউল হক তাকে তত্ত্বাবধান করতেন। কিছুদিন পর তিনি মিরপুর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করে দেন। দ্রুত তার অস্ত্রোপচার প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন। এ জন্য প্রায় ৫ লাখ টাকা লাগবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কিন্তু টাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় অস্ত্রোপচারটি করানো সম্ভব হচ্ছে না।
শিশুটির মা মাকসুদা খাতুন বলেন, অনেক আদরের মেয়েটা আমার। ওর যখন বুকে ব্যথা শুরু হয় তখন কথা বলতে পারে না, শুধু কাঁদে। আর ইশারায় বুকটা ধরে দেখায়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে মেয়েটা যদি চোখের সামনে মারা যায় মা হিসেবে আমি কীভাবে সইব?
সাহায্য পাঠানো যাবে: মোছা. মানসুরা আক্তার মিম (রোগীর বোন), হিসাব নম্বর (স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট)-২০৫০৭৭৭৬৭০৩১৩৩৯৩৬, ইসলামী ব্যাংক (এজেন্ট শাখা) জোড়গাছা, সাঁথিয়া, পাবনা এবং ০১৭২৮৭০২৫৪১ (ব্যক্তিগত) বিকাশ নম্বরে।
0 মন্তব্যসমূহ