সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

পাবনায় নিখোঁজের দু’দিন পর কৃষকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার


 পাবনায় নিখোঁজের দুই দিন পর আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরের দিকে সদর থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের খাইরুল ইসলামের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 


এর আগে মঙ্গলবার রাতে আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় সন্দেহজনক জোসনা ও সায়াম নামের এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।


নিহত আব্দুল কুদ্দুস সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের সিরহাব প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন।


পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন আব্দুল কুদ্দুস। রাতে বাড়িতে না যাওয়ায় পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি। পরেরদিন সকালে নিখোঁজ ব্যক্তির বাড়ির সামনে স্যান্ডেল, গামছা ও একটি রশি পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি দুবলিয়া ফাঁড়ি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরিবার থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন।


বৃহস্পতিবার সকালে দড়ি শ্রীকোল গ্রামের খাইরুল ইসলামের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় নিহতের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। মরদেহটির অর্ধেক পচে গলে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।


নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা একজন নিরীহ মানুষ ছিলেন। রুপপুর প্রকল্পের কাজ থেকে বাড়ি এসে শুনি বাবা নিখোঁজ হয়েছেন। তাকে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বাড়ির পাশের জোসনা নামে এক নারীকে পরকীয়া করতে বাঁধা দেওয়ায় তিনি ও তার পরকীয়া প্রেমিক আকমল হোসেন বাবাকে রাতে গামছা পেঁচিয়ে ও রশি দিয়ে বেঁধে হত্যা করে থাকতে পারে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।


সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুনসী বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই অনেক ভাল মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে কোনো বিরোধে জড়াননি। আমরা তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি করছি।


পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই রহস্য উদঘাটন হবে। এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ