গতকাল বুধবার (০৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরদী পৌরসভার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ভাই বলে জানা গেছে।
রিকশা চালক নিহত মামুন হোসেন (২৫) পৌর শহরের পিয়ারখালী মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রকি হোসেন (২৬) স্থানীয় শরিফ হোসেনের ছেলে এবং ছুরিতে আহত সুমন (৩৩) বরকি বাবুর ছেলে। ,
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে অতিরিক্ত গতিতে করিমন ও লেগুনা চালানোর কারণে পশ্চিম টেংরি এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এ জন্য কড়ইতলা মোড়ের মোটরসাইকেলের মিস্ত্রি পারভেজ, রিকশাচালক মামুন হোসেন, রকি, সুমনসহ বেশ কয়েকজন গতকাল রাতে দ্রুতগতিতে চলা একটি করিমনকে থামিয়ে ধীরে চলানোর অনুরোধ করেন।
এ সময় পেছন থেকে একটি লেগুনা করিমনটিকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে লেগুনা ও করিমনের চালকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি উপস্থিত লোকজন মীমাংসা করে দেয়। লেগুনা ও মরিমনের চালক গাড়ি নিয়ে চলে যান।
এর কিছুক্ষণ পরই পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেন, একই এলাকার জামালের ছেলে হৃদয় এবং আকরামের ছেলে ইব্রাহিম মদ্যপ অবস্থায় দলবল নিয়ে এসে মিস্ত্রি পারভেজের গ্যারেজে বসে থাকা রিকশাচালক মামুন, রকি, সুমনসহ আরো কয়েকজনের ওপর চড়াও হন। তাঁদের মধ্যে বাগবিতণ্ডাসহ হাতাহাতি হয়।
এক পর্যায়ে পৌর কাউন্সিলরের ভাই আনোয়ার হোসেন তাঁর কোমরে থাকা পিস্তল বের করে মামুন হোসেন ও রকি হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এ সময় আনোয়ারের সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাতে আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিত্সক মামুন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিত্সক রহিমা ফেরদৌস জানান, গুলিবিদ্ধ দুজন এবং ছুরিকাঘাতে একজন আহত হয়ে হাসপাতালে আসেন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে আসার আগেই মামুনের মৃত্যু হয়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর কামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত আনোয়ারসহ অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলা হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ