সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

আটঘরিয়ায় ইরি ও বোরো ধানের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকরা

 


আটঘরিয়া প্রতিনিধি : পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে চলছে কৃষকদের ব্যস্ততা। আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানের বীজ রোপণের হিড়িক পড়েছে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে।

অন্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আটঘরিয়া উপজেলায় তিনগুণ বেশি জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। খরচের তুলনায় আমন ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় ইরি ও বোরো ধানের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রিড ও উফসী জাতের ধান বেশি আবাদ হয়। হিরা-১, হিরা-২, সোনার বাংলা, ব্রি ধান- ২৮, ব্রি-২৯, ব্রি ৮১, ব্রি -৭৪, ব্রি -৮৯ সহ স্থানীয় নানা জাতের কিছু ধানের চাষও করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হলেও জমিতে চাষাবাদ ঠিকমতো করতে দেরি হচ্ছে।

সরেজমিনে মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার  বিভিন্ন স্থানের কৃষকেরা ভোর থেকে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসলের ক্ষেতে। শীত উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপন করছেন তারা।

 কৃষক আক্কাস আলী বলেন, প্রতি বছর বোরো ধানের চাষ করি। এবার সব জিসিনপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশ। 

সার, তেল ও বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় অধিক পরিমানে লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের। শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে, তা না হলে জমি বিক্রি করে চলতে হবে। জিসিনপত্রের দাম বেশি থাকায় বোরো ধান চাষে ব্যয় অনেক বেশি হচ্ছে। বীজ ভালো হলে আশা করি ফলনও ভালো আসবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ জানান, আশা করি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ