পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি আনোয়ার উদ্দিনকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া বারো কোয়ার্টার মহল্লার এলাকা থেকে আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
একই মামলায় বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে আলাদা অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম হোসেন নামে আরেক আসমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে যে পিস্তল দিয়ে মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো, সেই অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
আনোয়ার উদ্দিন পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের ছোট ভাই এবং মামলার এজাহার নামীয় দুই নম্বর আসামি। ইব্রাহিম চার নম্বর আসামি।
এ নিয়ে মামলার এজাহার নামীয় মোট ৪ আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) পৌর শহরের শৈলপাড়া এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন এবং ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদীর আরমবাড়িয়া এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে প্রথমে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আলাদা অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোরে কুষ্টিয়া থেকে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, গ্রেপ্তারের পর আনোয়ারকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের হেফাজতে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) চারজনকে নামীয় ও আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
0 মন্তব্যসমূহ