পুলিশ জানায়, গত ১ সপ্তাহ ধরে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ নানাভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বিশেষ অভিযানে নামে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার আনোয়ার উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে বলেন, গ্রেফতারের পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আনোয়ার উদ্দিনের বড় ভাই কামাল উদ্দিন ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের ১নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর হওয়ায় আনোয়ার নিজে যুবলীগের সদস্য না হয়েও এলাকায় ‘যুবলীগ নেতা’ হিসেবে পরিচয় দিতেন।
গত বুধবার (০৪ জানুয়ারি) রাতে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে শহরের পশ্চিমটেংরি কড়ইতলা এলাকায় রিকশাচালক মামুন হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন যুবলীগ নেতা দাবি করা আনোয়ার উদ্দিন। এ ঘটনায় নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে চারজনকে নামীয় ও আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর দুই আসামী ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর ও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন এবং ওই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় হোসেনকে ঘটনার পরদিন গ্রেপ্তার করে পাবনার র্যাব সদস্যরা।
ছাত্রলীগ সভাপতি হৃদয় হোসেন কাউন্সিলর কামাল ও যুবলীগ নেতা আনোয়ারের ভাতিজা।
0 মন্তব্যসমূহ