মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহরে, পাবনা : পাবনার চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে ইমামের বাৎসরিক বেতনের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন উক্ত গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে ইসরাইল (৩৭), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে লালন (৩৫) ও হামিদুল ইসলাম। এদের মধ্যে ইসরাইল ও লালনকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য লালনকে পরে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হামিদুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
১ জুলাই শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর চরপাড়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চাটমোহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
মসজিদটির সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান জানান, চরপাড়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের অধীনের মানুষ দুইটি সমাজে বিভক্ত। প্রায় দুই বছর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস্কেন্দার আলীকে সভাপতি ও লুৎফর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি করে দেন।
বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহনের পর আমাদের সমাজের ৩৬ পরিবার ইমামের বাৎসরিক বেতনের টাকা প্রদান থেকে বিরত থাকেন। এ নিয়ে দীর্ঘ দিন মনোমালিন্য থাকার পর আলোচনা সাপেক্ষে আজ আমাদের সমাজের ঝন্টু, কানু মেম্বরসহ অন্যরা ইমামের বকেয়া বেতনের টাকা দিতে যায়।
নামাজ শেষে এ নিয়ে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে মসজিদের বাইরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মসজিদটির বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব এস্কেন্দার আলী জানান, মসজিদের অধীনস্ত মুসুল্লীদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত মানসিক দূরত্ব ছিল। পূর্বের কমিটি টাকা পয়সার হিসাব না দেওয়ায় দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে মজিবর রহমানের সমাজের মানুষ অসহযোগিতা করতে থাকে। তারা ইমামের বেতন দেওয়া বন্ধ করে দেন।
শুক্রবার ঝন্টু, কানু মেম্বর ইমামের ককেয়া বেতনের টাকা দিতে আসলেও মজিবর রহমান না আসায় এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মসজিদের বাইরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং তিন ব্যক্তি আহত হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ছাইফুল ইসলাম জানান, মজিবর রহমান দীর্ঘদিন যাবত সভাপতি থেকে উন্নয়ন মূলক কাজ করেননি। তার প্রতি মনো কষ্টে এ মসজিদের অধীনস্ত মুসুল্লীরা গ্রামে আরো নতুন ৫ টি মসজিদ নির্মাণ করেছেন।
এ মসজিদের নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই মজিবর গং উন্নয়নকাজে অসহযোগিতা করে আসছিলেন। নিজে মসজিদে না এসে অন্যদের পাঠিয়ে সর্বশেষ এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ