মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহর, পাবনা : উজান থেকে নেমে আসা পানি আর ক’দিনের বর্ষনে পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। জনপদে পানি ঢুকে পড়ায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ অবস্থায় চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের মানুষের চলাচল ও মাছ ধরার মাধ্যম ডিঙি নৌকা । চলনবিল অঞ্চলে এখন ডিঙি নৌকা তৈরি ও বিক্রির ধূম পড়েছে।
৩০ জুন বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে বন্যার পানি ঢুকছে গ্রামের মধ্যে। হাট বাজার গুলোতে শোনা যাচ্ছে তাতুরি-বাটালের ঠুসঠাস শব্দ। অনেকেই আবার নৌকার তৈরির বায়না করতে এসেছেন কারিগরদের কাছে। বর্ষার আগমণকে ঘিরে নৌকা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় কারিগররা কারখানায় নৌকা তৈরি করছেন। বিভিন্ন হাটে নৌকা বিক্রি চলছে।
নৌকা বেচাকেনায় নিয়োজিত ব্যবসায়ী ও মিস্ত্রিরা জানান, বর্ষা মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলের অন্যতম বাহন এই ডিঙি নৌকা। এক পাড়া থেকে অন্যপাড়া যেতে এই নৌকার কোন বিকল্প নেই। নৌকা তৈরির কারিগর আসলাম হোসেন, সুধির হলদারসহ অন্যরা জানান, ১২-১৫ হাত একটি নৌকা তৈরি করতে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। ১০-১২ হাত নৌকা তৈরি করতে খরচ হয় আড়াই হাজার টাকা। প্রতিটি নৌকা ৫০০-৬০০ টাকা লাভে বিক্রি করা হয়।
চাটমোহরের ছাইকোলা গ্রামের বাসিন্দা ও ছাইকোলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক (রাষ্টবিজ্ঞান) মো. হাসিনুর রহমান উজ্জ্বল জানালেন, এ বছর বন্যার প্রাদুর্ভাব বেশি বলে মনে হচ্ছে। তাই হাট থেকে ডিঙি নৌকা কিনেছি। পানি এসে গেছে, যেভাবে পানি বাড়ছে নৌকা ছাড়া কোন উপায় নেই। নৌকার কারিগররা জানালেন, এবার নৌকার চাহিদা বেড়েছে। নৌকা তৈরির কাঠসহ উপকরণের দাম এবার বেশি, তাই দামও বেশি।
চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন হাটে নৌকা বেচাকেনার ধূম পড়েছে বলে জানালেন নিমাইচড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও চাটমোহর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম কালু। কারণ বর্ষাকালে নৌকার কোন বিকল্প নেই।
0 মন্তব্যসমূহ