পাবনা প্রতিনিধি : গত ২৭ ও ২৮ জুন দুই দিনব্যাপি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘ইনোভেশন ইন সার্ভিস ডেলিভারী’ র্শীষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন উদ্বোধন করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল খান। সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম।
ইনষ্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এবং গর্ভনেন্স ও ইনোভেশন কমিটির উদ্যোগে রেজিস্ট্রার দপ্তর এই কর্মশালার আয়োজন করে।
এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষন কেন্দ্রের রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি বিভাগের ড. মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম।
আলোচক ছিলেন আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ খাইরুল আলম, আইসিটি সেলের পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোঃ কামরুল হাসান। গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, আমাদের কাজের মধ্যে নতুনত্ব আনতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী পদ্ধতির সৃষ্টি করতে হবে। উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে। ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে ইনোভেশন এবং নতুন নতুন ভাবনার উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। নিজেকে ভালো সেবা দেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও ভালো সেবা দিতে হবে। উদ্ভাবনী সেবাকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে। দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে, আগামী ভবিষ্যতের উপযোগী উদ্ভাবনী আপনাদের বের করতে হবে। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য যেন বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সুনাম নষ্ট না হয়।
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. মোস্তফা কামাল খান বলেন, সবাই মিলে কাজ করলে আমরা যে কোন ভালো কাজ সহজে করতে পারবো। আমাদের উৎকৃষ্ট সেবা প্রদান করতে হবে। নতুন নতুন ধারণা তৈরী এবং সেটা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে হবে। সাধারণ জনগণের জন্য সেবাকে আরো সহজ ও দ্রুত করতে হবে। আমাদের সেবা নিতে আবার দিতেও হবে। সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন সভাপতি রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম। ২৮ জুন বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা দুইদিনের কর্মশালায় নিজেদের অভিজ্ঞতা তুরে ধরে বলেন, এ ধরনের কর্মশালায় কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। নিজেদের মধ্যে সেবা দেয়ার উপলব্ধি তৈরী হবে। নিজেরা আরো সচেতন হবেন। কর্মশালা আয়োজন করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। শেষে সবাই ফটোসেশনে মিলিত হন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে ‘ইনোভেশন ইন সার্ভিস ডেলিভারী’ সেবা চালু করেন।
0 মন্তব্যসমূহ